ভারতনাট্যামের আশ্রয়রুপে আঙ্গিক, বাচিক,স্বত্ত্বিক , ও আহার্য --এই চার প্রকার অভিনয়। দুটি ধর্ম লোক ধর্মী ও নাট্য ধর্মী। চারটি বৃত্তি ---ভারতী ,সত্ত্বকি ,কৈশিকি ও অর্ভাত্তি। দুই প্রকার সিদ্ধি --- দৈবী ও মানুষী। পাচটি আসন-পদ্মাসনম ,সিংহাসনম ,যোগাসনম ,বিরাসনম ,সিধ্বাসনম। চারটি মণ্ডলা --মণ্ডলা ,অর্ধমন্ডলা ,সমমন্ডলা ও নৃত্যমন্ডলা। তিন প্রকার অঙ্গভেদ --এর মধ্যে করণ ,অঙ্গহার ,মুদ্রা প্রধান।
ভারতনাট্যাম অনুষ্ঠানের মুলরস শৃঙ্গার। এই নৃত্যের অন্তর্ভুক্ত তান্ডব ও লাস্য উভয়ই শৃঙ্গার রস থেকে উদ্ভুত। নাট্যশাস্ত্র অনুযায়ী স্ত্রী পুরুষ উভয়েরই তান্ডব নৃত্যে অধিকার আছে, যদিও পরবর্তীকালে রক্ষনশীল গুরুরা নৃত্যভেদে তাণ্ডবকে পুরুষের ও লাস্যকে স্ত্রীলোকের জন্যে নির্দিষ্ট করেন। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত অশাত্রিয়। কারণ শৃঙ্গার রস থেকে উদ্ভব বলেই তান্ডবের প্রয়োগেও সৌকুমার্য ও লীলায়িত গতি আছে এবং এতে স্ত্রী -পুরুষের সমান অধিকার।
নাট্যশাস্ত্র 'তান্ডব লক্ষণ ' অধ্যায়ে একশত আটটি করনের উল্লেখ আছে। হস্ত ও পদের পারস্পরিক সহযোগ করনের রূপকে বিকশিত করে , আবার কয়েকটি করণ একত্রে মিলিত হয়ে অঙ্গহার সৃষ্টি করে ,এই করন ও অঙ্গহারগুলি নৃত্যের সৌন্দর্যের মূল উত্স। চিদাম্বরম -এ নটরাজ মন্দিরে খোদিত ভারতনাট্যাম নৃত্যে প্রযুক্ত একশত আটটি করনের অনুকৃতি এই নৃত্যকলার বিস্ময়কর উত্কর্ষের সাক্ষর বহন করে। ভারতনাট্যম নৃত্যকলায় সাধারনত আটাশটি অসংযুক্ত মুদ্রা ও চব্বিশটি সংযুক্ত মুদ্রার প্রয়োগ হয়ে থাকে।
ভারতনাট্যম নৃত্যকলার অন্যতম প্রধান অঙ্গ সঙ্গীত। সন্গিতাংশে একজন সুকন্ঠ শিল্পীর ভূমিকা বিশেষ গুরুত্যপূর্ণ। আবহসংগীতে বীনা ,তম্বুরা, বাঁশি ,নাফরী ,সারাঙ্গি ,বুদবুদিকা ,মৃদনগম ,করতাল ,বেহালা ,সুরসৃন্গার ,পুঙ্গি ,নাগেশ্বারাম ও মন্দিরা ব্যবহৃত হয়। মার্গসংগীতে প্রায় সকল সমৃদ্ধ রাগ্রাগিনী সংগীতাংশে প্রযুক্ত হয়।
সাধারনভাবে ভারতনাট্যাম নৃত্যে রুবকম ,জাম্বাই ,এবারম ,তিরুপদ্দাই ,অরাতালম ,মিত্তিয়াম ,একতালম ,প্রভৃতি নয়টি তালের ব্যবহার হয়। তালের পাচটি মাত্রার নাম সাধুশ্রম (চার মাত্রা ),তিশ্রম (তিন মাত্রা ),মিশ্রম (সাত মাত্রা ),কান্দম (পাচ মাত্রা ), ও সন্গির্নম (নয় মাত্রা) তাল্গুলির বিভিন্ন মাত্রা ও যতি সহযোগে বৈচিত্র্য সৃষ্টি করে।

নাট্যশাস্ত্র 'তান্ডব লক্ষণ ' অধ্যায়ে একশত আটটি করনের উল্লেখ আছে। হস্ত ও পদের পারস্পরিক সহযোগ করনের রূপকে বিকশিত করে , আবার কয়েকটি করণ একত্রে মিলিত হয়ে অঙ্গহার সৃষ্টি করে ,এই করন ও অঙ্গহারগুলি নৃত্যের সৌন্দর্যের মূল উত্স। চিদাম্বরম -এ নটরাজ মন্দিরে খোদিত ভারতনাট্যাম নৃত্যে প্রযুক্ত একশত আটটি করনের অনুকৃতি এই নৃত্যকলার বিস্ময়কর উত্কর্ষের সাক্ষর বহন করে। ভারতনাট্যম নৃত্যকলায় সাধারনত আটাশটি অসংযুক্ত মুদ্রা ও চব্বিশটি সংযুক্ত মুদ্রার প্রয়োগ হয়ে থাকে।
ভারতনাট্যম নৃত্যকলার অন্যতম প্রধান অঙ্গ সঙ্গীত। সন্গিতাংশে একজন সুকন্ঠ শিল্পীর ভূমিকা বিশেষ গুরুত্যপূর্ণ। আবহসংগীতে বীনা ,তম্বুরা, বাঁশি ,নাফরী ,সারাঙ্গি ,বুদবুদিকা ,মৃদনগম ,করতাল ,বেহালা ,সুরসৃন্গার ,পুঙ্গি ,নাগেশ্বারাম ও মন্দিরা ব্যবহৃত হয়। মার্গসংগীতে প্রায় সকল সমৃদ্ধ রাগ্রাগিনী সংগীতাংশে প্রযুক্ত হয়।
সাধারনভাবে ভারতনাট্যাম নৃত্যে রুবকম ,জাম্বাই ,এবারম ,তিরুপদ্দাই ,অরাতালম ,মিত্তিয়াম ,একতালম ,প্রভৃতি নয়টি তালের ব্যবহার হয়। তালের পাচটি মাত্রার নাম সাধুশ্রম (চার মাত্রা ),তিশ্রম (তিন মাত্রা ),মিশ্রম (সাত মাত্রা ),কান্দম (পাচ মাত্রা ), ও সন্গির্নম (নয় মাত্রা) তাল্গুলির বিভিন্ন মাত্রা ও যতি সহযোগে বৈচিত্র্য সৃষ্টি করে।